
কুমিল্লায় সবজির দাম কমে স্বস্তি, নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে হাসি
কুমিল্লার নিমসার কাঁচা বাজারে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে এই দাম কমে যাওয়ার কারণে হতাশা দেখা দিয়েছে স্থানীয় কৃষক ও পাইকারদের মধ্যে। যে সবজিগুলো কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে ছিল, এখন সেগুলো খুবই সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে।
আজ সোমবার বাজারে ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম কম হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করে কোনো রকম পরিবহন খরচ তুলতে পারলেই সন্তুষ্ট। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের মানুষ স্বস্তিতে বেশি পরিমাণ সবজি কিনতে পারছেন।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, পাইকারি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকা, ফুলকপি ৫-৬ টাকা, করলা ২০ টাকা, শিম ১২ টাকা, লাউ ১৫ টাকা, টমেটো ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ো ২০ টাকা, নতুন আলু ৩৮-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ২০ টাকা, শশা ১২ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, শালগম ১২ টাকা, এবং মুলা মাত্র ৪ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শাকসবজিরও প্রচুর সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। পুঁই শাক, লাল শাক, লাউ শাক, কুমড়ো শাক, পালং শাকের প্রতি মোঠা বিক্রি হচ্ছে ৩-৫ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগেও এ বাজারে সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। লাউ বিক্রি হতো ৬০ টাকায়, টমেটো ১২০-১৪০ টাকায়, গাজর ১৩০ টাকায়, শিম ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায়, এবং ফুলকপি ১০০ টাকায়।
বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী কামরুল হাসান, মো. সহিদুল, ও জাহিদুর রহমান জানান, বর্তমানে সবজির সরবরাহ অত্যধিক হওয়ায় দাম কমে গেছে। সাম্প্রতিক বন্যার পরে কৃষকরা একসঙ্গে উৎপাদন শুরু করায় এবং শীতকালীন সবজির প্রচুর উৎপাদনের কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় বাজারদর নিম্নমুখী।
এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, কৃষক ও পাইকারদের আয় কমে যাওয়ায় তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।