শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন।

The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/cw4w

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইন্সে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। কার্টারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার। গত কয়েক বছর ধরে তিনি ত্বকের ক্যানসার মেলানোমাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর শততম জন্মদিনে পৌঁছান। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর শততম জন্মদিন উদযাপিত হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি জর্জিয়ার প্লেইন্সে নিজ বাড়িতে ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে থাকতেন। তবে রোজালিন কার্টার ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান।

প্রথম জীবনে জিমি কার্টার ছিলেন একজন চীনাবাদাম চাষি ও বিক্রেতা। পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর মেয়াদকাল ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত।

কার্টারের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যায়। একই সময়ে ইরানে মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ জন কূটনীতিক ও নাগরিক জিম্মি হন। তবে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতভাবে কাজ করেন কার্টার। এই অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে তাঁর ছেলে চিপ কার্টার বলেন, “আমার বাবা শুধু আমার নায়কই ছিলেন না, বরং শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাসী সবার জন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন।

জিমি কার্টার তাঁর চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনিকে রেখে গেছেন। ১৯৪৬ সালে রোজালিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দীর্ঘ দাম্পত্যজীবনে তাঁরা একসঙ্গে মানবকল্যাণমূলক কাজ করে গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from DALY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading