

নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম চললে চুপ থাকবে না বিএনপি: নয়াপল্টনে সমাবেশে আমীর খসরুর হুঁশিয়ারি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বিকেলে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অবহেলা বা কৌশলী বিলম্ব কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
আমীর খসরু বলেন, “আজকের তারুণ্যের ঢেউ প্রমাণ করছে, তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য প্রস্তুত। কোনো সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর পথ খোলা নেই।” তিনি আরও জানান, বিএনপি-ই দেশে প্রথম সংস্কারের ধারণা দেয়, যখন খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেন এবং পরে তারেক রহমান ২৭ দফা প্রস্তাব দেন।
সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্যের আলোচনায় মতভেদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না থাকলে জনগণই তা নির্ধারণ করবে। ব্যালটের মাধ্যমেই একটি প্রকৃত জনগণের সরকার গঠিত হবে, যারা প্রকৃত সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”
আন্দোলন ও আত্মত্যাগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের মত কেউ এমন কঠিন সময় অতিক্রম করেনি। আমরা যদি না দাঁড়াতাম, তাহলে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অনেকেই হয়তো আজ বিদেশে থাকতেন। আর আমরা থাকতাম জেলে কিংবা মৃত্যুর প্রহর গুনতাম।”
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর দুইটার কিছু আগে শুরু হওয়া এই জনসমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের বিপরীতে একটি মঞ্চ নির্মাণ করে সমাবেশ পরিচালিত হয়। এর ফলে আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।
বিএনপির পক্ষ থেকে তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে মে মাসব্যাপী দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় পূর্বে অনুষ্ঠান শেষে এই ঢাকাই ছিল শেষ আয়োজন।
আজকের সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। আয়োজকরা জানিয়েছেন, তিনি তরুণদের সামনে দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও কৌশল তুলে ধরবেন।
এ ছাড়াও, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে।