বাংলাদেশসব খবর

ইভিএম প্রকল্পে ১৬০০ মেশিনের হদিস নেই, ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক

The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/4143

ইভিএম প্রকল্পে ১৬০০ মেশিনের হদিস নেই, ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক

দুদকের অভিযানে ইভিএম প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট

ইভিএম প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকার অপচয় এবং ১৬০০ মেশিনের হদিস না মেলার ঘটনায় দুদক আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। দুদক জানিয়েছে, অধিকাংশ ইভিএম মেশিন নিম্নমানের ও অকার্যকর অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

২০১৮ সালে ৩৮২৫ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি মেশিন কিনতে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও, তার জীবনকাল ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অধিকাংশ মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ে।

 

পট পরিবর্তনের পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইভিএম মেশিন ব্যবহারের বিরোধিতা করে। এরই মধ্যে দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, ১৬০০ মেশিনের কোনো হদিস নেই। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, প্রকল্পে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে অর্থ অপচয় হয়েছে।

 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদক ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ থেকে ইভিএম প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

 

একই দিনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ আরও কয়েকটি বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪টি মামলা করা হয়। এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক বিমান সচিব মহিবুল হক, এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

 

দুদকের দাবি, এই প্রকল্পগুলোতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কাজ করেছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘এই দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from DAILY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading