পাকিস্তানে ভারতের মধ্যরাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসী সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য এবং তাঁর তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর এলাকার ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদ সংলগ্ন একটি স্থানে।
জেইএম-এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাসুদ আজহারের বড় বোন, তাঁর স্বামী, এক ভাতিজা, ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পাঁচটি শিশু। নিহত সহযোগীদের মধ্যে একজনের মা-ও ছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের দাবি, হামলা হয়েছে ছয়টি স্থানে এবং সেগুলো সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল না।
ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত ভারত কিংবা পাকিস্তানের সরকারি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি হতে পারে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের নতুন একটি কৌশলগত পাল্টা আঘাত।
পুলওয়ামা হামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর ৪০ জন সদস্য নিহত হন। এনআইএ’র চার্জশিটে সরাসরি মাসুদ আজহার ও তাঁর ভাইয়ের নাম উঠে আসে সেই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে। সেই ঘটনার পর দু’দেশ যুদ্ধের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের হামলা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।