
মসজিদে সরকারি বেতন-ভাতা: দেশের দাঙ্গা ও গণহত্যার উস্কানির ছক
দেশের সাড়ে তিন লাখ মসজিদের ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনের সরকারি বেতন-ভাতা: ভবিষ্যৎ সহিংসতার পূর্বাভাস?
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা,
বাংলাদেশের সাড়ে তিন লাখ মসজিদের ১৭ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য সরকারি বেতন-ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এটি দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সহিংসতা ও গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।
সরকারি এই অর্থায়ন মসজিদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনার পরিবর্তে ধর্মীয় সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সহিংসতা ও মসজিদভিত্তিক দখলদারিত্ব ইতোমধ্যেই এর উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিতর্কিত পরিকল্পনার ফলাফল
সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই পদক্ষেপ দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সহায়ক হবে। তবে সমালোচকদের মতে, এই উদ্যোগ মসজিদের নিয়ন্ত্রণকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।
ইতিহাস থেকে দেখা যায়, ধর্মীয় মতবিরোধে সহিংসতার শিকড় অনেক গভীরে। সাহাবি হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর মধ্যে সিফ্ফিন যুদ্ধ থেকে শুরু করে কারবালার ঘটনা, সবই ধর্মীয় সহিংসতার দৃষ্টান্ত। আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও সেই ঘটনাগুলো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।
সমাজে প্রভাব
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থায়ন ভবিষ্যতে পরিবার, সমাজ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অর্থায়নের কারণে যে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে, সেটি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি।
সরকারি এই ভাতা প্রদান কেবল ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে না; বরং দেশের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানতে পারে।
সমাধান ও প্রস্তাবনা
সমাজে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সরকারি অর্থায়নের এই পরিকল্পনা বাতিল করা জরুরি। দেশের নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং ধর্মীয় রীতিনীতিকে পূতপবিত্র রাখার জন্য প্রয়োজন দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ।