নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর ও হাতিয়া উপজেলায় বিএনপির তিন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হারুনুর রশিদের স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বিষদভাবে উল্লেখ করা হয় যে, সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে দলের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের পরামর্শক্রমে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের (ওরফে জসিম), সদর উপজেলার সহসভাপতি নুরুল আমিন ও হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভির হায়দার (ওরফে তান্না) অন্তর্ভুক্ত। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, কবিরহাটের নেতাকে চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং বাকি দুইজনকে দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র অনুসারে, কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়ন নেতাবৃন্দ দাবি করেন, আবদুল কাদের গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নিজ কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে তিনি এলাকার ব্যবসায়ী, বাসিন্দা ও প্রবাসীদের ডেকে চাঁদাবাজির নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে সৌদি থেকে দেশে আসা মহি উদ্দিন নামক এক প্রবাসীকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকে পাঠানোর পর, কাদেরের প্রেরিত দুই কর্মচারীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ১ মার্চ, এই দুই কর্মচারীর কাছে ২০ হাজার টাকার চাঁদা নেওয়ার ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করা হয়। অভিযোগ জানালেই প্রবাসীর ফয়দার বিরুদ্ধে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সাথে মোবাইলেও নানা গালমাল ও হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল কাদের ফোনে সাড়া দেননি; পরে তিনি ফোন কেটে দেন। স্থানীয় পর্যায়ে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দলের নীতি ও শৃঙ্খলা রক্ষার প্রচেষ্টা পরিস্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।