সমন্বয়কসহ ৭ জন কারাগারে, সাত শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে

শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ।
The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/tzy6

সমন্বয়কসহ ৭ জন কারাগারে, সাত শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে

শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৪ জন আটক, সাতজন কারাগারে, সাতজন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে।


বঙ্গভূমি অনলাইন:

শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও তিন লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান (২৪)-সহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন— সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) এবং ফারহান (২৫)।

যাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন— ইমন (১৫), পারভেজ হাওলাদার (১৬), হৃদয় হোসেন আকাশ (১৭), নাইম হাওলাদার (১৭), আরাফাত আহম্মেদ (১৪), রুবেল মিয়া (১৬) এবং শেখ রাব্বি (১৪)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারেক মোহাম্মদ মাসুদ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় করা মামলায় ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে সাতজন শিশু এবং সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক। সাত শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নারী ও শিশু আদালতে তাদের শুনানি হবে। অপর সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

কারাগারে আটক রাখার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের তিন তলায় শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিরা দলবদ্ধভাবে অফিসে প্রবেশ করে শক্তি প্রদর্শন ও ভয়ভীতি ছড়িয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। অফিসের পিয়ন ইয়াসিন মৃধা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায়, ‘তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে।’

পিয়ন এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার (মূল্য দুই লাখ টাকা) ও টেবিলের ড্রয়ার থেকে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে। অফিস পিয়নের চিৎকারে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে এবং লুণ্ঠিত নগদ ৩১,১৫০ টাকা, ৮৪টি দেশি-বিদেশি কয়েন ও দুইটি প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত চাকু উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে ইয়াসিন মৃধা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from DALY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading