

জেলে ধরা বিশাল ভোল মাছ, টেকনাফে বিক্রি ২,৬০,০০০ টাকায়
টেকনাফের নাফ নদীতে ছয়জেলে টানা জালে প্রায় ৫.২২ মণ ওজনের ভোল মাছ ধরা পড়ে, স্থানীয় সহযোগিতায় সফল লেনদেন।
টেকনাফ, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফ, কক্সবাজার – রবিবার প্রায় ১১টায়, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় নাফ নদীতে ছয়জেলে টানা জালে এক বিশাল ভোল মাছ ধরা পড়ে। মাছটির ওজন প্রায় ৫ দশমিক ২২ মণ (১৯৫ কেজি) হিসাবে রেকর্ড করা হয়।
স্থানীয় মাছ পাইকারিদের সহযোগিতায়, ছয়জন মিলেই এই বিশাল মাছটি নদী থেকে তুলে আনা হয়। শাহপরীর দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কালু ফকিরের টানা জালে মাছটি ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জানান, “সকালবেলা নাফ নদীর শাহপরীর অংশে ১০ থেকে ১২ জেলে টানা জাল ফেলা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর জাল টানতে গিয়ে ছোট মাছের সঙ্গেই এই বিশাল ভোল মাছটি জালে আটকে যায়। পরে স্থানীয় সহযোগিতায় মাছটি নদী থেকে রশির সাহায্যে তুলে আনা হয়।”
মৎসঘাটে মাছটি নিয়ে দাম হাঁকানো হয় প্রাথমিকভাবে সাড়ে তিন লাখ টাকায়। এরপর টেকনাফের জালিয়াপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী জাফর আলম মাছটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। আলম ব্যাখ্যা করেন, মাছটির মূল্য প্রতি কেজিতে ১,৩৫০ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে এবং তা টেকনাফ বড়বাজারে প্রতি কেজি ১,৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। বর্তমানে প্রায় ৫ দশমিক ২২ মণ ওজনের এই মাছের আগাম বিক্রয়ও চলছে।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, শীত মৌসুমে নাফ নদীর জাল ধরায় সাধারণত ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের ভোল মাছ আটকে পড়ে, তবে কখনও কখনও মাছের ওজন ৪০০ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার ফলে মাছগুলো বড় হচ্ছে এবং জেলেদের ভালো মূল্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
এই ঘটনার ফলে স্থানীয় মাছ বাজারে ভোল মাছের চাহিদা ও মূল্য উভয়েই ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এলাকার মাছ ব্যবসায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।