যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পিস্তলে খুলনায় সাবেক কাউন্সিলরকে হত্যা, প্রধান সরবরাহকারী পলাতক

The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/63yv

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পিস্তলে খুলনায় সাবেক কাউন্সিলরকে হত্যা, প্রধান সরবরাহকারী পলাতক

খুলনায় সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানীকে হত্যা করতে ব্যবহৃত অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। সরবরাহকারী রায়হান শেখ পলাতক, পুলিশের দাবি।

 

খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী ওরফে টিপুকে (৫৪) হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। দৌলতপুর এলাকার রায়হান শেখ নামের এক ব্যক্তি পিস্তলটি পাঁচটি গুলিসহ সরবরাহ করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের উদ্ধার অভিযান:
সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে: শেখ শাহরিয়ার ইসলাম (২৭), গোলাম রসুল (২৫), রিপন ওরফে এলকো রিপন (৪৫), রায়হান শেখ (৩২) এবং রিয়াজুল ইসলাম (২৭)।

হত্যাকাণ্ডের বিবরণ:
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গোলাম রব্বানী হত্যার পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার ইসলাম। তিনি তাঁর প্রয়াত চাচা শহীদুল হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। ৯ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সৈকতের পাশে রব্বানীকে গুলি করেন শাহরিয়ার।

অস্ত্রের উৎস:
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শাহরিয়ার বলেন, অস্ত্রটি খুলনা থেকে সরবরাহ করা হয়। রায়হান শেখ তাঁকে পিস্তলটি পাঁচটি গুলিসহ দেন। এর আগে দাবি করা হয়েছিল, অস্ত্রটি মিয়ানমারে তৈরি।

আসামিদের অবস্থা:
পাঁচ আসামির মধ্যে দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার অন্যান্য আসামি এবং রায়হান শেখ পলাতক রয়েছেন।

সম্পৃক্ততা:
পুলিশের দাবি, হত্যাকাণ্ডে খুলনা সিটির আরেক সাবেক কাউন্সিলর ইফতেখারের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য:
কক্সবাজার থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, শাহরিয়ার ও গোলাম রসুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ:
রবিবার আদালতে রিমান্ড শুনানি হবে। এই মামলার তদন্তে নতুন কোনো তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেষ কথা:
গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্রের ব্যবহার এবং সরবরাহকারী রায়হানের পলাতক থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from DALY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading