
শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম আমরণ অনশনে বসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বক্তব্য দেন। তিনি অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও কোনো দৃশ্যমান বিচারিক পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের পাশাপাশি ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।
বিক্ষোভ থেকে কি বলা হলো?
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন,
‘চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য খুনি শেখ হাসিনাসহ সব দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আমরা আমরণ অনশন করছি।’
তিনি আরও বলেন,
‘আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই— পুলিশ প্রশাসনসহ যারা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য আমরা লড়াই করছি, এবং সেই সংগ্রাম চলবে।’
ছাত্রদের দাবিগুলো কী?
বিক্ষোভে উপস্থিত ছাত্র জনতা ঘোষণা দেয়—
- শেখ হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে।
- হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণসহ আওয়ামী লীগের সব অপরাধের বিচার করতে হবে।
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
- আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হবে।
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
- নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা দিতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ও সরকারের ভূমিকা
বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন— ‘অভ্যুত্থানের ছয় মাস পার হলেও কেনো এখনো ন্যায়বিচার হয়নি?’ তারা দ্রুত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানান।