
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এই নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর, ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করে দুদক।
অবৈধ সম্পদের পরিমাণ
মামলা অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
- স্ত্রী জীশান মীর্জা: ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন।
- বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর: ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ।
- মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর: ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ।
সম্পত্তি জব্দের আদেশ
২০২৩ সালের ১২ জুন, আদালত বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৮টি ফ্ল্যাট ও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি জব্দ করার নির্দেশ দেন।
- ফ্ল্যাট: ঢাকার বাড্ডা ও আদাবর এলাকায়।
- জমি: নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরা এলাকায়।
- গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর: ৬২১ বিঘা জমি।
- ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করা হয়।
দেশত্যাগ ও অতীত দায়িত্ব
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ৪ মে, তিনি সপরিবারে দেশ ছেড়ে চলে যান।