

১৭ বছর কারাদণ্ডের মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
অস্ত্র মামলায় আপিলের রায় মঞ্জুর, হাইকোর্টের রায়ে খালাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা:
অস্ত্র আইনে করা এক মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন। আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ঢাকার গুলশান থানায় করা এ মামলায় বিচারিক আদালত ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে আপিল শুনানি শেষে আদালত রায় বাতিল করে বাবরকে খালাস দেন।
মামলার পটভূমি:
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় লুৎফুজ্জামান বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে ৩ জুন গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল–৯ এ মামলায় দুটি ধারায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে।
এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বাবর। দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে খালাস দেন।
আইনি লড়াই ও রায়ের পর্যবেক্ষণ:
বাবরের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান শুনানি করেন।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, “এ মামলায় বাবরের সাজা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আপিল মঞ্জুর হওয়ায় তিনি বেকসুর খালাস পেলেন।”
তিনি আরও দাবি করেন, ১/১১ সরকারের সময় বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর মামলা করা হয়, যা আইনবিরোধী ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।
বাবরের মুক্তি:
বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরবর্তী সময়ে অন্য মামলায় খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।