জেলার খবরবাংলাদেশসব খবরসারাদেশ
Trending

চাঁদা না দিলে দোকানে তালা! নাটোরে সেনা-পুলিশের অভিযানে জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

বড়াইগ্রামের আহম্মদপুর বাজারে ১০টি দোকান দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগীদের অভিযোগে দ্রুত অভিযানে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর

The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/bmxi

অনলাইন ডেস্ক:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর বাজারে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে জোরপূর্বক দখলের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় এক নেতা ও তাঁর সহযোগীরা।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দোকানগুলো মুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: জোয়াড়ী ইউনিয়নের জামায়াত সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তাঁর ভাই ও জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), বিএনপি সমর্থক হায়দার আলী (৪৫) ও তাঁর পিতা মুজিবর রহমান (৭০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেন দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আহম্মদপুর বাজারে নিজেদের মালিকানাধীন জমিতে ১০টি দোকান পরিচালনা করছেন এবং নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে, গতকাল সকালে রুহুল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা ৪০-৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে গিয়ে দোকানপ্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা দোকানগুলিতে তালা লাগিয়ে দখলে নেন এবং ব্যবসায়ীদের হুমকি দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও বড়াইগ্রাম থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে দোকানগুলোর তালা ভেঙে প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয় এবং অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মোতালেব হোসেন বলেন, “৭০ বছর ধরে আমরা এসব দোকান চালাচ্ছি। অথচ হঠাৎ করেই স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল মালেক আমাদের দোকানপ্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বলেন। আমরা রাজি না হওয়ায় জোর করে তালা লাগিয়ে দখল নেয়।”

তবে গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই জমি আমাদের। আমরা শুধু ভাড়া চেয়েছি। চাঁদা নয়।” যদিও তিনি দোকানে তালা লাগানো ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, দোকান দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from DAILY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading