
পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে ১৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাসেলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে এই ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের ইতিমধ্যে সিলেট পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যদের তালিকা
প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—
- উপপরিদর্শক (এসআই): খোকন চন্দ্র সরকার, মিলন ফকির
- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই): শিশির আহমেদ, শামীম হাসান
- কনস্টেবল: নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন, কিপেস চন্দ্র রায়
চাঁদাবাজির অভিযোগ ও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয় এবং তা ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন।
সম্প্রতি, চাঁদাবাজির একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর স্থানীয়রা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।