
রাজশাহী বিএমডিএ’র ইডি চেয়ার দখল: বিতর্কের ঝড়
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানের ইডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ ঘিরে চাঞ্চল্য
রাজশাহী প্রতিবেদন:
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, যিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, এবার নির্বাহী পরিচালকের (ইডি) পদ দখল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার সকালে দায়িত্বপালনরত নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামকে তার দফতর থেকে বের করে দিয়ে ওই চেয়ারে বসেন তিনি। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ শফিকুল ইসলামকে জোরপূর্বক তার চেয়ার থেকে উঠিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। এরপর সেই চেয়ারে বসানো হয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কৃষি মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলামকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে রবিবার সকালে কর্মচারীদের সংগঠন সিবিএ’র একাংশের নেতাকর্মী ও কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারপর কর্মচারীরা শফিকুল ইসলামকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেন এবং তার স্থানে বসানো হয় জাহাঙ্গীর আলমকে।
অফিসের এক কর্মচারী আবদুস সবুর জানান, “আগে থেকেই একজন ইডি দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু কিছু কর্মচারী এসে জোর করে আরেকজনকে বসিয়ে দিল।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জাহাঙ্গীর আলম খানকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শফিকুল ইসলাম বদলি হলে সেখানে সিনিয়র প্রকৌশলীদের কেউ দায়িত্ব পেতেন। তবে সিনিয়র আরও কয়েকজন প্রকৌশলী থাকা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে ইডি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “আমি ইডির দায়িত্ব নিয়েছি, কারণ শফিকুল ইসলামের বদলি হয়ে গেছে।” মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “মন্ত্রণালয় থেকে আমার নামে চিঠি আসবে।” তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে, এখানে অফিসিয়ালি কোনো আদেশের প্রয়োজন নেই।”
এ বিষয়ে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীতে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালকের পদ দখল নিয়ে প্রশাসনিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।