
কুলাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে কুপিয়ে হত্যা, ভারতীয় নাগরিকসহ ৭ জনের নামে মামলা
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবকের নির্মম মৃত্যু
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে এক বাংলাদেশি যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এওলাছড়া বস্তি এলাকার শূন্যরেখার কাছে আহাদ আলী (৩৪) নামে ওই যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আহাদ আলী এওলাছড়া বস্তি এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে। তাঁর স্ত্রী জমিরুননেছা বাদী হয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও মামলা
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ জানান, ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
নিহত আহাদের লাশ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
জমি নিয়ে বিরোধ ও হত্যাকাণ্ড
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহাদের শ্বশুরবাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানী থানার অন্তর্গত। সীমান্তের ওপারে তাঁর শ্বশুরবাড়ির কিছু জমি রয়েছে। ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ওই জমি বর্গা নিয়ে থাকলেও সময়মতো বর্গার টাকা পরিশোধ করতেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গতকাল দুপুরে হায়দার আহাদকে সীমান্তে ডেকে নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।
স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিলভেস্টার পাঠাং জানান, জমি নিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিরোধ থেকেই আহাদকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
বিজিবির পর্যবেক্ষণ
ঘটনার পর বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির স্থানীয় মুরইছড়া ক্যাম্পের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।