
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় যা রয়েছে
ফ্যাসিবাদ বিরোধী জনতার সংগ্রামের দলিল; অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বান
অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আলোচিত ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘোষণাপত্র কার্যকর হবে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে।
ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেন।
খসড়ার উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুগের পর যুগ সংগ্রাম করেছে এ ভূখণ্ডের মানুষ। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি এবং ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের কথা এতে তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভ কিভাবে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পালানোর ঘটনাও উঠে এসেছে।
খসড়ার উল্লেখযোগ্য ঘোষণা:
১. ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা বাতিলের অভিপ্রায়।
২. ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের অবসান ঘটানো।
৩. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনের আহ্বান, যা সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করবে।
৪. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার।
৫. একটি নতুন প্রজাতন্ত্র গঠনের উদ্যোগ, যা বৈষম্যহীন সমাজ নিশ্চিত করবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের প্রেক্ষাপট:
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র প্রকাশের প্রস্তাবনা উঠেছিল। তবে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এক বিবৃতিতে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
আজকের বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।