ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ: চারটি সম্ভাব্য সমাপ্তি

The short URL of the present article is: https://bangavumi.com/rhm1

ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ: চারটি সম্ভাব্য সমাপ্তি

ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপটি আর্কটিক মহাসাগরে অবস্থিত এবং এটি ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৯ সালে তিনি প্রথম এই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

সম্ভাব্য চারটি সমাপ্তি:

১. ট্রাম্পের আগ্রহ হারানো

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার কৌশল। ডেনমার্ক ইতোমধ্যে আর্কটিকের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে যদি ট্রাম্প এই ইস্যুতে আগ্রহ হারান, তাহলে এটি হবে সবচেয়ে সম্ভাব্য সমাপ্তি।

২. গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার দিকে অগ্রগতি

গ্রিনল্যান্ডের জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তবে এটি নির্ভর করবে ডেনমার্কের অর্থনৈতিক সাহায্য ধরে রাখার উপর। ডেনিশ ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষকদের মতে, স্বাধীনতা অর্জনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা হবে।

৩. অর্থনৈতিক চাপ

ট্রাম্প ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। এটি ডেনমার্ককে গ্রিনল্যান্ডের উপর আরও ছাড় দিতে বাধ্য করতে পারে। ওষুধ শিল্পসহ ডেনমার্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত এতে প্রভাবিত হতে পারে।

৪. সামরিক পদক্ষেপ

যদিও সামরিক পদক্ষেপ অবাস্তব বলে মনে হয়, তবুও ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ইতোমধ্যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তবে এটি ন্যাটোর দেশগুলোর মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত তৈরি করতে পারে।

গ্রিনল্যান্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গ্রিনল্যান্ড তার ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিপুল খনিজ সম্পদের জন্য অত্যন্ত কৌশলগত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি দ্বীপটিকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from DALY BANGAVUMI

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading